রবিবার, ৮ জুন ২০২৫, সকাল ৮:৪১ সময়

ব্রেকিং নিউজ **টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত** **নতুন রুপে বাংলাদেশ গড়েতে জাপানের সর্বাত্মক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা নতুন রুপে বাংলাদেশ গড়েতে জাপানের সর্বাত্মক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা** **বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ নিম্নচাপটি দূর্বল হতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ নিম্নচাপটি দূর্বল হতে শুরু করেছে** **গাইবান্ধায় আলীগ নেতা বারের সাবেক সভাপতি লাছু গ্রেফতার গাইবান্ধায় আলীগ নেতা বারের সাবেক সভাপতি লাছু গ্রেফতার** **বিএনপি‘র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ বিএনপি‘র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ** **নতুন টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের চিত্র নতুন টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের চিত্র** **শিক্ষা ব্যবস্থাকে ৩০ বৎসর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে,সংস্কারে সময় লাগবে ; উপাচার্য,জা: বি: শিক্ষা ব্যবস্থাকে ৩০ বৎসর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে,সংস্কারে সময় লাগবে ; উপাচার্য,জা: বি:** **ছবি; আব্দুল হালিম,ওসি জয়দেবপুর থানা জনসচেতনতায় অনলাইন পুলিশি সেবায় জনসাধারনের পাশে ওসি** **গাজীপুরে মামলা সংক্রান্ত ধুম্রজাল বাদীর অভিযোগ ৫২ জনের বিরুদ্ধে থানার এজাহারে ১১৮ জন গাজীপুরে মামলা সংক্রান্ত ধুম্রজাল বাদীর অভিযোগ ৫২ জনের বিরুদ্ধে থানার এজাহারে ১১৮ জন** **নকল শিশু খাদ্য তৈরির দুই কারখানা সিলগালা আটক-২ নকল শিশু খাদ্য তৈরির দুই কারখানা সিলগালা আটক-২** **পীরগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত ৬৯ হাজার পশু পীরগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত ৬৯ হাজার পশু** **গাইবান্ধায় ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আটক গাইবান্ধায় ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আটক** **গাছা থানা বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতাসহ চারজন হাসপাতালে গাছা থানা বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতাসহ চারজন হাসপাতালে** **টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ** **আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বাড়ি নির্মাণ কাজের অভিযোগ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বাড়ি নির্মাণ কাজের অভিযোগ** **আ.লীগের ‘সন্ত্রাসী নেত্রী রওশন আরার’ বিরুদ্ধে এবার গুমের অভিযোগ আ.লীগের ‘সন্ত্রাসী নেত্রী রওশন আরার’ বিরুদ্ধে এবার গুমের অভিযোগ** **গাইবান্ধায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে র‌্যাব সদস্যের মৃত্যু গাইবান্ধায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে র‌্যাব সদস্যের মৃত্যু** **সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা,গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা,গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ** **রাজধানী শহরের কয়েক স্থানে সভা সমাবেশ নিশিদ্ধ ;ডিএমপি রাজধানী শহরের কয়েক স্থানে সভা সমাবেশ নিশিদ্ধ ;ডিএমপি** **অনলাইন জুয়া বন্ধ ধরা পড়লে ৫বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ অর্থদন্ডের বিধান অনলাইন জুয়া বন্ধ ধরা পড়লে ৫বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ অর্থদন্ডের বিধান**

জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার রমরমা ইয়াবা ব্যবসায়

logoখবরের সময় ডেস্কবুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১, রাত ২:৪০ সময় 0150
জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার রমরমা ইয়াবা ব্যবসায়

জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার রমরমা ইয়াবা ব্যবসায়

খবরের সময় ডেস্ক:
জীবন্ত মৃত্যুর নেশা ইয়াবার লাগাম টানতে পারছে না কেউ।পাশের দেশ মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে টেকনাফে ইয়াবার বড় বড় চালান প্রবেশ করছে। এরপর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। ধরা পড়ছে মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ। মাদক পাচার ঠেকাতে পুলিশের তৎপরতা বেশি থাকলেও অন্য বাহিনীর চেয়ে উদ্ধার কম। কোস্টগার্ড ও বিজিবি প্রায় বড় বড় ইয়াবার চালান জব্দ করছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাও করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ তদন্তের জটিলতা এড়াতে পাচারকারী হিসেবে মামলা না দেওয়ায় সহজেই জামিনে বেরিয়ে ফের ইয়াবা ব্যবসায় নেমে পড়ছে আসামিরা। মরণ নেশা ইয়াবা বিদেশ থেকে চোরাচালানি হিসেবে আনা হলেও মামলা হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে। একইভাবে প্রতিবেশী দেশ থেকে ফেনসিডিল ও গাঁজা চোরাইপথ দিয়ে পাচার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদকের ওইসব মামলাও হচ্ছে শুধু মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে। যার কারণে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে কম সময়ে জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে মাদক চোরাকারবারিরা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে সারা দেশে ৩৩ হাজার ৫৫১টি মাদক মামলা হয়েছে। মহামারী করোনায়ও থেমে থাকেনি মাদক কারবারিরা। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা কাইয়ূম মোল্যা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ১৫টি মাদকের মামলা ছিল। অল্প সময়ে আইনের ফাঁক গলিয়ে ওই ১৫টি মামলায় জামিন নিয়ে ফের একই ব্যবসা শুরু করে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে ৩৬ হাজার ৬৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৮৭ গ্রাম হেরোইন, ২৫ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে উত্তরা পূর্ব থানার আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ কাঁচাবাজার থেকে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে ডিবির গুলশান বিভাগ। তারা হলেন- আবদুর রহমান ও মো. নাজিরুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা বহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়।
রাজধানীতে প্রতিদিনই মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এরপরও থেমে নেই মাদক কারবারিরা। কেউ মাদক বিক্রি করছে আবার কেউ মাদক গ্রহণ করছে। এদের সঙ্গে প্রতিদিনই নিত্যনতুন মাদক কারবারিরা যোগ হচ্ছে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত  টানা অভিযানে ৩৪৩ কিশোরকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ২৬৯ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা এবং বাকি ৭১ জনকে ডিএমপি অ্যাক্টে জরিমানা করা হয়। সর্বশেষ রবিবার রাতে শ্যামপুরের ফরিদাবাদ গ্লাস ফ্যাক্টরির একতা হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ জন কিশোরকে আটক করা হয়। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সম্পর্কগত ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়াদিসহ যেসব কারণে মানুষ মাদকের ব্যবসা বা নেশায় জড়িয়ে পড়ে তার প্রতিকার না করে শুধু আইন প্রয়োগ করে এর সমাধান মোটেও সহজ নয়। আবার যে কোনো উপায়ে দেশে মাদক প্রবেশ করে বহু হাত ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের জন্য তার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকারও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। তারপরও মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এমনকি যে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের সত্যতা পেলে পুলিশ সদস্যদের বিরদ্ধেও নেওয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অবস্থান কঠোর। যারা ইয়াবা ছাড়তে পারেন না কিংবা যারা জড়িত হচ্ছেন তাদের  বিরুদ্ধে র‌্যাব কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, মাদকের নেশায় আসক্ত ব্যক্তি ক্রমান্বয়ে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আসক্ত ব্যক্তির মধ্যে একাকী থাকা, পরিবার ও সৎ বন্ধুদের সঙ্গ এড়িয়ে চলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে পরিবার ও সামাজিক সহানুভূতি এবং নিয়মিত চিকিৎসা প্রয়োজন।
 অন্যদিকে,যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত তারা অতি লোভের কারণে ছাড়ে না। তবে আইনের প্রয়োগ,সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন,দেশে মাদক প্রবেশে জিরো টলারেন্স নীতির প্রয়োগে অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।এখনই উপযুক্ত সময়, মাদকবিরোধী সামাজিক অবস্থান গড়ে তোলা । পাশাপাশি উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের প্রতি কঠোর নজরদারী বাড়ানো ।

বিষয়- আইন ও বিচার, অপরাধ, মাদক,

মন্তব্য


মন্তব্য করতে হলে লগইন করুন অথবা নতুন হলে রেজিস্ট্রেশন করুন

এই বিভাগের আরও খবর


আইটি সম্পাদকঃ সুকান্ত ধর